ঢাকা খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের বিষয়ে আসলে কী করা হবে নিশ্চিত নয় ট্রাম্প প্রশাসন

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ১৭ ফেব্রু ২০২৫ ০৮:৪৮ পি.এম

ইউরোপের নেতারা বেশ বড় ধরনের ধাক্কার মুখে পড়েছেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্যারিসে তাদের পক্ষ থেকে অনেকটা তাড়াহুড়ো করে ডাকা নিরাপত্তা সম্মেলন অন্তত সেটাই প্রমাণ করে। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র যে তাদের বাইরে রেখেছে, সেটা হয়তো তারা এখনো পুরোপুরি মেনে নিতে পারছেন না।

রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি খুব শিগগির রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।

এখন প্রশ্ন হলো চাপের মুখে থাকা ইউরোপ কি তাদের নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক উদ্বেগকে একপাশে সরিয়ে রেখে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যয় ও ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা ফ্রন্ট গঠন করতে পারবে? সেই সঙ্গে ইউরোপ কি ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর মতো পদক্ষেপ নিতে পারবে যা তাদের এই যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনার টেবিলে একটা জায়গা করে দিতে পারে?

তবে এই বিষয়টা নিশ্চিত যে তারা একটা চেষ্টা করতে যাচ্ছে। সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্য পাঠাতে যুক্তরাজ্য রাজি আছে এবং তাদের সেই প্রস্তুতিও আছে। এমনকি জার্মানিতে আসন্ন নির্বাচনের আগে সিডিইউ পার্টির পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক মুখপাত্র বলেছেন, আন্তর্জাতিক নিয়মরীতির মধ্যে থেকে তারা বিদেশে সৈন্য মোতায়েন করতে আগ্রহী। নির্বাচনে এই দল বেশিরভাগ আসন পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই আবহে ইউরোপের একটা ছোট্ট সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এই সুযোগের হাত ধরে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করতে পারে যে ইউরোপও এই আলোচনায় একটা অমূল্য অংশীদার।

ইউরোপ আপাতত প্যারিস সম্মেলনে দুটি বড় ইস্যুর বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা ভাবছে যা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগেই দাবি জানিয়েছেন। প্রথমত ইউরোপ তার নিজস্ব প্রতিরক্ষার খাতে আরও ব্যয় করবে এবং যুদ্ধবিরতির পর তারা ইউক্রেনে সেনা বাহিনী পাঠাবে।

ইউরোপের নেতারা অবশ্য চাইছেন যে, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনায় কিয়েভকে সরাসরি জড়িত করা হোক। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে এসেছে যে, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে ইউক্রেন সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না।

তবে ইউক্রেন সংক্রান্ত যেকোনো আলোচনার সময় তাতে উপস্থিত থাকাটা ইউরোপের জন্য আরও বেশি জরুরি।
এ প্রসঙ্গে কঠিন বাস্তবটা সামনে এসেছে যে ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে বা তাদের (ইউরোপের) প্রতিরক্ষার বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয় না। এই উপলব্ধি ভয়ের হতে পারে কিন্তু অপ্রত্যাশিত নয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিরাপত্তা বলয়ের উপর নির্ভর করে আসছে। ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা কোনদিকে গড়ায় এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন সেটা নিয়ে কতটা উৎসাহিত বোধ করেন, সেটার সাথে সাথে ইউরোপের জন্য আরো একটা আশঙ্কাও জোরদার হয়ে উঠেছে যে,এসবের ফলে তাদের নিরাপত্তা কাঠামোই পরিবর্তন করতে হতে পারে

প্রেসিডেন্ট পুতিন ঐতিহাসিকভাবে ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলের বিস্তারকে অপছন্দ করে এসেছেন। ফলে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও সাবেক সোভিয়েত বাল্টিক রাষ্ট্র এবং পোল্যান্ড এখন অনিরাপদ বোধ করতে পারে।

সোমবার প্যারিসে আয়োজিত এই সম্মেলনে ইউরোপের সব দেশ অংশগ্রহণ করবে না। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন এবং ডেনমার্ক -এর মতো দেশ যাদের প্রতিরক্ষার দিকটা মজবুত তারা বাল্টিক এবং নর্ডিক দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সভাপতি এবং প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল থাকতে পারেন এই সম্মেলনে।
অন্যান্য দেশগুলো পরবর্তী বৈঠকে থাকবে বলে জানা গেছে। প্যারিসের এই সমাবেশ আকারে ছোট। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে সকলের একমত হওয়াটা অসম্ভব না হলেও কঠিন হবে। পোল্যান্ড ২০২৫ সালে তার জিডিপির ৪.৪৭ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে। যুক্তরাজ্য এই দিক থেকে চেষ্টা করেও জিডিপির ২.৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রাতেও পৌঁছাতে পারেনি এখনও
তবে নেতারা নিজেদের মধ্যে আরও ভালভাবে সমন্বয় করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন, ন্যাটোর অভ্যন্তরে ব্যয়ের পরিমাণ বাড়াতে পারেন এবং যুদ্ধ বিরতির পর ইউক্রেন পুনর্গঠনের বেশিরভাগ দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে পারেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্যারিসে আয়োজিত সোমবারের সম্মেলন একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোকপাত করবে এবং সেটা হলো যুদ্ধবিরতির পর ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে কি না।
তবে, এক্ষেত্রে যে প্রসঙ্গে আলোচনা হচ্ছে সেটা কিন্তু এই বাহিনী শান্তি রক্ষাকারী বাহিনী হবে না বরং ‘আশ্বস্তকরণ বাহিনী’ বিষয়ে যারা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি রেখার ভেতরে অবস্থান নিয়ে থাকবে।

ইউরোপীয় সৈন্য উপস্থিতির তিনটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য রয়েছে। তার মধ্যে একটা হলো ইউক্রেনবাসীদের কাছে এই বার্তা পাঠানো, যে তারা একা নয়।

আর একটা বার্তা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে। ইউরোপ যে তার নিজের মহাদেশের প্রতিরক্ষার জন্য তার যা যা করনীয় তা করছে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে তুলে ধরতে চায় তারা।
সর্বশেষ বার্তা মস্কোর প্রতি। ইউরোপ তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চায় যে, রাশিয়া যদি চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে, তাহলে তাদের মোকাবিলা শুধুমাত্র কিয়েভের সঙ্গে হবে না।
তবে এই পুরো বিষয়কে ঘিরে বিতর্ক রয়েছে। শুধু তাই নয়, ভোটারদের কাছে এটা (বিষয়টা) জনপ্রিয় নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ইতালিতে ৫০ শতাংশ মানুষ ইউক্রেনে আর অস্ত্র পাঠাতে চান না। সুতরাং সেখানে তাদের সন্তান, কন্যা, বোন বা ভাইদ

আরও খবর

news image

অধিকৃত পশ্চিম তীর সফরে ইসরাইলি সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা

news image

পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি - রণধীর জয়সওয়াল

news image

ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৫০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে

news image

ইসরায়েলে ফের ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা

news image

বাণিজ্য যুদ্ধ ও পাল্টা শুল্কের কারণে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা

news image

ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানানো হয়

news image

ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন

news image

চীন ও ভারতের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা উচিত : শি জিনপিং

news image

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দাবিতে সংহতি মিছিল করেন একদল মুসল্লি

news image

ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় দুই সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে- এনইউজি

news image

সৌদি আরব ঈদ আগামীকাল

news image

চীনকে আমাদের ভালো বন্ধু হিসেবে দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-প্রধান উপদেষ্টা

news image

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতিতে সুবিধা নিচ্ছে চীন- রয়টার্স

news image

উত্তর ব্রাজিলের আমাজন শহর বেলেমে কপ৩০ আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ

news image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরকারের তুলনায় ফেডারেল লিবারেল সরকারের পদক্ষেপ একেবারেই ভিন্ন

news image

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি

news image

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের জন্য আরব রাষ্ট্রগুলোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপের চার প্রভাবশালী দেশ

news image

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার করিডোর চেয়েছেন-মুখ্যমন্ত্রী

news image

অভ্যন্তরীণ প্লেন ভাড়া এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু মহাসড়কে টোল ফি কমানোর নির্দেশ-প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো

news image

রমজানে পশ্চিম বঙ্গে ফলের বাজারে আগুন

news image

যুক্তরাজ্য ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা

news image

দিন পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়নি ইসরাইল

news image

ইরানে এক বছরে ৯৭৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

news image

ইউক্রেনের বিষয়ে আসলে কী করা হবে নিশ্চিত নয় ট্রাম্প প্রশাসন

news image

সৌদিতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে-এনসিএম

news image

সোনার খনি ধসে পড়ার ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত

news image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসন আন্তর্জাতিক সহায়তা খাতে ব্যাপক কাটছাঁট করছে

news image

আজকের গাজার ওপর দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে- আরব লীগের মহাসচিব

news image

যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসীদের অভিযানে ভারতীয় সাতজন প্রেফতার চারজন আটক

news image

টিউলিপ সিদ্দিকি আবারও বির্তকের শিকার গুলশানে বিলাশবহুল ভবনের বাসিন্দা হিসেবে