ঈদ সামনে রেখে লাচ্ছা সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা

ঈদ সামনে রেখে লাচ্ছা সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। পামঅয়েল তেল এবং ডালডায় ভাজা হয় এই সেমাই। প্রকারভেদে প্রতি কেজি সেমাই বাজারে ১৫০ থেকে  ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে  জয়পুরহাট জেলার কারখানা গুলোতে ‌ভালো মানের লাচ্ছা সেমাই শুরু হয়। রোজার ১৫ দিন আগে থেকে এরপর থেকে চলে বড় আকারে কর্মযোজ্ঞ। জয়পুরহাট সেমাই প্রস্তুতের সঙ্গে মূলত বেকারি ব্যবসায়ীরাই জড়িত। জেলায় ব্র্যান্ডেড (মোড়কজাত) কারখানা ৪ থেকে ৬  টি। বাকিগুলো নন-ব্র্যান্ড (খোলা বা বাঁশের খাচিতে)। এসব নন-ব্র্যান্ড কারখানার অধিকাংশই মৌসুমী ব্যবসায়ী। শুধু ব্যবসায়ীরাই নয়, বেশিরভাগ কারিগরেরা ঈদ মৌসুমে সেমাই তৈরি করেন। বাকি সময় অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকেন তারা।এ কথা জানালেন খাদ্য নিয়ন্ত্রণের অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ।

টগবগ করতে  থাকা গরম তেলে ভাজা হচ্ছে সুস্বাদু  লাচ্চা সেমাই প্রতি বছর ঈদুল ফিতরে কারখানা গুলোতে  রোজার শুরু থেকেই প্রস্তুত হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই।  মজাদার লাচ্ছা সেমাই বানাতে বাছাই করতে হয় ভালো মানের ময়দা মেশিনে ঢালা হয় বস্তা বস্তা ময়দা পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে নেয়া হয়  খামিরের জন্য  ময়দা, এরপরে দা দিয়ে কেটে নেয়া হয় ছোট ছোট খামিরের অংশ গুলোকে বল আকারে  ছোট করে ভালো করে মেখে নিতে হয় এরই মধ্যে তৈরি করে নিতে হয় আরেকটি ডালডা মেখে নিতে হয় খামিরের ময়দা। ময়দার ডলা  কে ক্রিমের মতন ভেঙ্গে দিয়ে ৮ থেকে ১০  প্যাঁচে। কয়েক  জোড়া হাত মাখা খামির ঢালিয়ে মিশিয়ে পেসে পেসে নেয়া হয় লাচ্চা সেমাই । চিকন থেকে দুই ৩ বার  প্যাঁচ  ঘোরানো আলাদা টেতে সেখান থেকে ভাজার প্রস্তুতিতে হাতের তালু দিয়ে গোল করে চেপে চেপে তা ছেড়ে দেয়া হয় তেলে এবারে বড় বড় দুই  তাওয়ার পাশে , উলটপালট করে ভেজে তুলে রাখা হয় বাঁকানো টিনে , তারপরে  ঝরে পড়ে  তেল এরপর সাজিয়ে  বদ্ধ থাকা সীমাই সাজানো  হয় বাঁশের  খাঁছিতে তারপর সেগুলো নিয়ে যায় ওজন দিতে ওজন দিয়ে মেশিন  দিয়ে সিল করে দেয়া হয়। বিখ্যাত এই লাচ্ছা সেমাই অতিথি আপ্যায়ন হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন  ক্রেতারা এই সীমাই জয়পুরহাট সহ  উত্তর অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই সুস্বাদু লাচ্চা সেমাই।জয়পুরহাটের  সেমাইপ্রকারভেদে ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত তাই শত বছর ধরেও এ সময়ে বাড়ছে লাচ্ছা সেমাই এর কারখানা লাখ লাখ টাকার বেচাকেনা হবে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা

জয়পুরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে লাচ্ছা সেমাইয়ের কারখানা রয়েছে সেখানকার কারিগরেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন । 

জয়পুরহাট সদর উপজেলার সবুজ নগরের  বাসিন্দা মোঃ শাহারিয়া আহমেদ  জানান , রমজানে প্রথমে আসলে আমরা সব সময় লাচ্চা সীমায় ভালো মানের কোয়ালিটি দেখে  বাজার থেকে নেই,  যেটা রং মাখা সেটা  মানব দেহে জন্য ক্ষতি কর ।

বগুড়া জেলার মোঃ নূরে আলম কারিগর  জানান, আমরা অনেক  জায়গায় কাজ করছি সেখানে রং মিশাই কিন্তু জয়পুরহাট,নানা লাচ্ছা সেমাই কারখানায়, দীর্ঘ সাত বছর কাজ করছি  আমরা কারখানাতে এগুলোর রং মিশাই না ভালো মানের লাচ্ছা তৈরি কোয়ালিটি সম্পন্ন ময়দা ১ নাম্বার ডালডা পিওর সব মিলে ভাল কাজ করি অন্যরাও আমাদের মতন কাজ করুক এটাই আমরা কারিগরা চাই ।

জয়পুরহাট কালাই উপজেলার মাত্রায় বাজার  মিসেস বগুড়া বেকারি নানা লাচ্ছা সেমাই, প্রোঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম   জানান । আমরা কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করিনা বিএসটিআই অনুমোদিত আছে  আমরা  কোন রং ব্যবহার করিনা আমাদের জয়পুরহাটের লাচ্ছা সেমাইয়ের অনেক মান ভালো রং তো মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এটা মিশাবো কেন আপনার সন্তান আছে আপনাদের  সন্তান আছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে লাচ্ছা সেমাই আমরা তৈরি করি আমরা এবারে আশা করছি গতবছরের তুলনায় মোটামুটি লাভবান হব । 

সুমাইয়া আফরিন জিনিয়া নিরাপদ খাদ্য অফিসার জয়পুরহাট, ডেলি প্রেজেন্ট টাইম কে  জানান, রমজান উপলক্ষে জয়পুরহাট জেলায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা পাঁচটি  উপজেলায়   প্রতিবছরে লাচ্ছা সেমাই পার করে তো অনেকে   স্বাস্থ্য সম্ভবত করেন  দিকনির্দেশনা থাকবে আফরন, টুপি, গ্লবর্স, এগুলোর, পরিধান করে তারপরে লাচ্চা সেমাই গুলো তৈরি করে  এবং যে তেলটা ব্যবহার করবে সেটা যেন পোড়াতেল  না হয়  বিষয়টাকে আরো খাদ্য কর্মীদের সচেতন হতে হবে, ও  মালিকদেরকে আরো সচেতন  হবে । আরো জোরদার মনিটরিং করছি যদি আমরা কোন অনিয়ম পেয়ে থাকি নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৮-এর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা  করব ।

লাচ্ছা সেমাই প্রকারভেদে ১৫০ থেকে ৪৫০  টাকা পর্যন্ত তাই শত বছর ধরেও এ সময়ে বাড়ছে লাচ্ছা সেমাই এর কারখানা লাখ লাখ টাকার বেচাকেনা হবে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা