জয়পুরহাটে জমে উঠেছে ঈদের কেনা-কাটা এ বছরে নতুন কালেকশন পারশী ড্রেস ঘারারা ড্রেস।

জয়পুরহাটে জমে উঠেছে নতুন কালেকশন শাড়ী ও  পারশী ড্রেস ঘারারা  ড্রেস থ্রি-পিছ কেনা-কাটার ধুম। বিভিন্ন শপিং মহল ও কাপড়ের দোকানে তাই শোভা পাচ্ছে বাহারী সব নানা রং-বেরঙের ভারতীয় শাড়ী ও পাকিস্তানি  থ্রি-পিছের লেহেঙ্গা বিপুল সমাহর   সীমান্ত ঘেঁষা জয়পুরহাট জেলা শহর সহ জেলার ও পাঁচটি উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার পরিধেয় কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন শোভা পাচ্ছে নানান ধরনের নতুন ডিজাইনের পারশী ড্রেস ঘারারা  শাড়ী ও থ্রি-পিছের লেহেঙ্গা সমাহার। নজরকারা ডিজাইন আর চাক-চিক্কের ভীরে হুমরি খেয়ে পড়ছেন নারী ক্রেতারা। যে খানে দাম যেন কোন সমস্যাই নয়, নারী ক্রেতারা শুধু দেখছেন তাদের পছন্দ সই পাকিস্তানি  থ্রী-পিছ লেহেঙ্গা বা শাড়ী। কিনছেন যে যার পছন্দ মত।

ক্রেতারা এখন পোশাক সামগ্রী কিনলেও প্রসাধনী ও জুতোর দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে আসা ক্রেতাদের ভিড়ে শহরে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। কেনা-বেচা চলে রাত দেড়টা-দুইটা পর্যন্ত। যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

জেলা শহরের নিউ মার্কেট, সদর রাস্তা, পূর্ব বাজার কাপড় পট্টি, এনামুল হক মার্কেট, মীনা বাজার ও বিগ বাজার, মৌসুমী, শাহাজান আলী মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকান-পাট ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা বাড়তি কথা বলার সময় পাচ্ছেন না।

দোকানদারেরা  জানান, রোজা শুরুর প্রথম দিকে বেচা-বিক্রি কম থাকলেও ২০ রোজার পর থেকে বেচা-কেনা চলছে পুরোদমে। 

পূর্ব বাজারের বাবু গার্মেন্টসের প্রোঃ মাসুদ পারভেজ বাবু জানান, ছোট শিশুদের জন্যও রয়েছে বেবী সেট ও গেঞ্জি সেট, কিশোর-যুবকদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবী। পাঞ্জাবী বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন মাপের গার্মেন্টসে পোশাক শিশুদের জন্য বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। কাপড়, সেলাই, মজুরী ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় গতবারের তুলনায় এবার প্রকারভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঈদ আসলে বাড়তি উপার্জনের আশায় জয়পুরহাটের অনেক দর্জি কারিগর ঢাকাতে চলে যাওয়ায় কাপড় বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে টেইলার্সগুলো। এবার সেলাইয়ের জন্য শার্ট প্রতি ৪৫০-৫৫০ টাকা, প্যান্ট ও পাঞ্জাবী সেলাই প্রতিটি ৬০০-৮০০ টাকা মজুরী নেওয়া হচ্ছে।

জয়পুরহাট শহরের নতুন হাট এলাকার বাসিন্দা জানান, শিমুল হোসেন  ১৫ হাজার টাকার মধ্যে দুটি পাঞ্জাবী, দুটি ট্রাউজার ও দুই জোড়া জুতা কিনেছেন। দাম একটু বেশি বলে জানান তিনি।  

জয়পুরহাট সদর উপজেলার খেজুর তুলির গ্রামের বাসিন্দা জানান, মোঃ ফারুক হোসেন , মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানদের জন্য ঈদের কেনা-কাটা করতে এসেছি বাজারে নতুন নতুন পোশাকের কালেকশন ভালো রয়েছে। ছেলে-মেয়েদের জন্য জিন্স-টি-শার্ট, থ্রিপিস কিনেছি।  

বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার  থেকে আশা বাগবাড়ী,  মোছাঃ মিম আক্তার জয়পুরহাট জেলায় এসে নিত্য নতুন ,আমার বাবা, মা, জন্য শাড়ী, লুঙ্গি জুতা কিনেছি । আর আমার  নতুন ডিজাইনের  পারশী ড্রেস ,  নতুন  পোশাক  কিনেছি এতে আমি অনেক হ্যাপি  আমার, বাবা-মা নিয়ে ঈদ করব এটাই আমাদের আনন্দ ।

মোঃ মাসুদ পারভেজ (বাবু) সাধারণ সম্পাদক পূর্বা বাজার কাপড় ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, জয়পুরহাট জানান,

ব্যবসায়ীরা বলছেন এবার ভারতীয় শাড়ী থ্রি-পিচ  চাহিদা অনেক কম  এবং কম বিক্রি হচ্ছে। তবে গত  বছরের চেয়ে এ বছর বেচা বিক্রির  অনেক ভালো বলে জানালেন ব্যবসায়িকের নেতা ।

পুলিশ সুপার, মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, জয়পুরহাট জানান,  ঈদ  বেচা কেনাকে সমৃদ্ধ করতে শহরের মার্কেটগুলা সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তারপর ও ঈদের কেনাকাটা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে মার্কেটগুলোতে।