রাজাপুরে বিদ্যালয়ের পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে আ.লীগ নেতারা থাকায় ক্ষোভ

 ঝালকাঠির রাজাপুরে রাজাপুর সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৮ তম বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে অতিথি করেছে প্রতিষ্ঠানের প্রধান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতাদের অতিথি করায় প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। জানাযায়,পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আওযামী লীগ নেতাদের অতিথি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোহরা বেগম পিপি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও আওয়ামী লীগের অতিথিদের কথা গোপন করেন প্রধান শিক্ষক। অনুষ্ঠানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো কাউকে দাওয়াত দেয়নি তিনি। এমনকি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারও রাজাপুর সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৮ তম বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কথা জানেন না।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ নেয় তৎকালীন মুজিব বাহিনী রাজাপুর উপজেলা শাখার প্রধান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আ.লীগের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নূর হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আমির খসরু বাবুল। গত ২২মে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজাপুর সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৮ তম বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ছিলো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ্র। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে রোববার। আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশে নিয়ে তাদের পুরষ্কার বিতরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজাপুর সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোহরা বেগম পিপি জানায়, তারা এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষক সেই হিসেবে তাদের’কে আমি অতিথি করিছি। আমি দলীয় কোনো লোকজন দাওয়াত দেই’নি আর আমিও কোনো দলও করিনা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম জানান, রাজাপুর সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোহরা বেগম পিপি তার বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানের কথা আমাদের জানায়নি। তবে আমি বিষয়টি শুনেছি। এটা খুবই দুঃখজনক । উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রাধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ্র জানান, আমরা গিয়েছিলাম শিক্ষার্থীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে।

আমি একাধিক বার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোহরা বেগম পিপি’র কাছে জানতে চেয়েছি অনুষ্ঠানে অন্য অতিথি কারা থাকবে। তখন তিনি বলেছে অনুষ্ঠানে শুধু আপনিই অতিথি। আপনি ছারা অন্য কেহ থাকবে না। অনুষ্ঠান শেষে আমি জানতে পারি আমাদের সাথে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে দুই তিন আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারী ছিলেন বা কোনো না কোনা ভাবেই তাদের সাথে যুক্ত ছিলেন যা খুবই দুঃখ জনক। আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তাদের যে সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ আছে তাদেরকেও জানিয়েছি। খুব শ্রীঘ্রই এর প্রতিফলন আপনারা দেখতে পাবেন।