ঢাকা খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
প্রযুক্তি

দেশে স্মার্ট শিক্ষা প্রসারে হুয়াওয়ে ও ব্র্যাকনেটের কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিনিধি  ০৪ জুন ২০২৫ ০২:৩১ পি.এম

গত ২ জুন ২০২৫ বাংলাদেশে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারে ‘ক্যাম্পাস নেক্সটজেন: দ্য ফিউচার অব ডিজিটাল এডুকেশন’ শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে ও ব্র্যাকনেট।
ঢাকার গুলশানে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি ও পণ্যের সর্বাধুনিক উদ্ভাবন, বিভিন্ন সফল উদ্যোগ ও হুয়াওয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে দেশের ৩০টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা ইন্টারনেট ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা, নেটওয়ার্কের অতিরিক্ত স্তরজনিত সমস্যা,অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্সের (ওঅ্যান্ডএম) বিড়ম্বনা ও সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকির মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আরও সংযুক্ত, শক্তিশালী ও স্মার্ট ক্যাম্পাস গঠনের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
হুয়াওয়ে উন্নত মানের ১০ জিবিপিএস স্মার্ট ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক সল্যুশনের পাশাপাশি ফাইবার টু দ্য অফিস (এফটিটিও) ও ডেটা সেন্টার স্টোরেজ (ডিসিএস) প্রযুক্তি উপস্থাপন করে। ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক তৈরিতে একটি সহজ অবকাঠামো, শক্তিশালী ডেটা সুরক্ষা প্রদানসহ উচ্চগতির ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক পরিচালনা আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে এসব প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষাখাতে হুয়াওয়ের সহযোগী ব্র্যাকনেট প্রতিষ্ঠানটি অনুষ্ঠানে নিজেদের অবকাঠামোগত সক্ষমতাও তুলে ধরে। বাংলাদেশের ডিজিটাল শিক্ষা খাতে ভূমিকা রাখতে হুয়াওয়ের পাশে একটি আস্থাজনক সহযোগী হয়ে থাকার জন্য ব্র্যাকনেটকে সম্মাননা দেয় হুয়াওয়ে। ব্র্যাকনেটের সিইও সৈয়দ পি. এফ. আহমেদ ও জেনারেল ম্যানেজার এবং হেড অব অপারেশনস মুকাররম হুসাইন এই সম্মাননা গ্রহণ করেন।
হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং হেড অফ পার্টনার ডেভেলপমেন্ট ইউইং কার্ল বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা একটি দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। হুয়াওয়ে স্মার্ট ক্যাম্পাস প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল শিক্ষার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে উন্নত মানের ডিজিটাল অবকাঠামো দিয়ে সহযোগিতা করা।”
ব্র্যাকনেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ পি. এফ. আহমেদ বলেন, “বিগত অনেক বছর থেকেই ব্র্যাকনেটের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বর্তমান সময়ে স্মার্ট ক্যাম্পাস তৈরির মাধ্যমে মাধ্যমে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। আমাদের নিষ্ঠা ও হুয়াওয়ের সহযোগিতার মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে। একসাথে আমরা শ্রেণীকক্ষগুলিকে ক্যারিয়ারমুখী করার পাশাপাশি বাংলাদেশ জুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্মার্ট ভবিষ্যত গড়ে তুলছি।”
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সটাইলসহ (বুটেক্স) বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হুয়াওয়ের স্মার্ট ক্যাম্পাস প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানগুলি সংযোগ, ডেটার সুরক্ষা ও আইসিটি ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির উপযোগিতার কথা উল্লেখ করেছে।

বিস্তারিত জানতে:
তানভীর আহমেদ, হেড অব মিডিয়া, হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া
০১৭১১০৮১০৬৪, tanvir.comms@huawei.com
হুয়াওয়ে ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে: হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ও পরিষেবা এবং স্মার্ট ডিভাইস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এর লক্ষ্য হলো সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি ব্যক্তি, বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়া।
বাংলাদেশে ২৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে হুয়াওয়ে থ্রিজি, ফোরজি এবং ফাইভজি প্রযুক্তির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতকে সহযোগিতা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি হুয়াওয়ে ক্লাউড সল্যুশন, ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ও মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে এবং দেশের প্রায় প্রতিটি খাতে আইসিটি অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে। এছাড়া কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব পালনে,বিশেষ করে প্রতিভা বিকাশে হুয়াওয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে ভূমিকা পালন করে আসছে।
দেশের আইসিটি অবকাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ে একটি সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বাংলাদেশ গড়তে সবসময় এর সাথে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
হুয়াওয়ে; বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য।