ঢাকা খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
ফিচার

আমতলীতে আমের মুকুলের মৌমৌ গন্ধে দল বেঁধে মধু আহরনে ছুটছে মৌমাছি

বিশেষ প্রতিনিধি ০৩ ফেব্রু ২০২৫ ০৪:২৭ পি.এম

প্রতি বছরই ঋতু বদলের সাথে দেখা হয় আমের মুকুলের। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল। গাছে-গাছে ছড়িয়ে এই মুকুলে হবে আম। গ্রামবাংলার আনাচেকানাচে রয়েছে ছোট বড় অনেক আম গাছ। 

তবে এসব মুকুল থেকে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে অনেক মুকুল টিকে না। দেখা গেছে, এবছরও প্রতিবছরের মত ঋতুপর দলের শেষে উপজেলার গুলিশাখালী,কুকুয়া,হলদিয়া,চাওড়া,আরপাংগাশিয়া,

আঠারোগাছিয়া,আমতলী সদর  ইউনিয়নের অনেক স্থানে রয়েছে ছোট বড় অনেকগুলো বাগান। মুকুলে ভরে গেছে এসব বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। ইতোমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে।আমতলী উপজেলার কিছু বাড়ি ছারা প্রায় সব বাড়িতে রয়েছে আম গাছ। এসব গাছে ফুটেছে মুকুল। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। 

আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের মো.সিদ্দিক মোল্লা গাছ মালিক জানান, আনুমানিক প্রায় ২০/২২ দিন আগে থেকে তাদের বাড়ির আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। বৃষ্টি না হলে অনেক গাছের মুকুল টিকে না। এলাকাভিত্তিক এসবের মধ্যে বেশির ভাগ দেশীয় প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। 

তিনি বলেন, আবার আম বড় হওয়ার ফলে পোকা ধরে। অনেকে কৃষি বিভাগের পরামর্শে এক ধরনের স্প্রে ব্যবহার করেন। বাড়িগুলোতে গাছ কম থাকায় সাধারণত লোকজন স্প্রে ব্যবহার করেন না। বৃষ্টি না থাকার কারণে বেশিরভাগ গাছের গুড়িতে পানি দেন, গোবর দেন, যাতে উর্বরতা শক্তি বাড়ে।

আমতলী  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.ঈছা  জানান, এবছর আমতলী উপজেলায়  আম গাছে ভালো মুকুল এসেছে। সাধারণত এ সময়ে মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হয়। এতে মুকুলের পরিপক্বতা পায়।তিনি আরও জানান, তারা গাছের মালিকদেরকে সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।