নিজস্ব প্রতিবেদক ১০ ফেব্রু ২০২৫ ০৯:০০ পি.এম
শেখ পরিবারের আস্তাভাজন ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার মোড়ল সরকারি জমি বিক্রি, আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের ,কোটি কোটি টাকা আৎসাত , আছেন বহাল তবিয়তে
* শেখ পরিবারকে ১০% কমিশন দিয়ে ঠিকাদারি কাজ নিতেন
* টিআর-কাবিটা ও গভীর নলকূপসহ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাত
* জাতীয় পাটি থেকে বিএনপি, এখন আওয়ামী লীগ নেতা
পের বিনিময়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, এলজি এসপি প্রকল্প, হাট বাজার, উন্নয়ন তহবিল, উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ, ও কর্মসৃজন প্রকল্পসহ সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে টিআর-কাবিটা প্রকল্পে পুরাতন ইট ব্যবহার করে ও ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে কাজ জোড়া-তালি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তিনি শেখ পরিবারের কাছ থেকে ১০% কমিশন দিয়ে বহু ঠিকাদারী কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনাসহ তার দোসররা দেশ ছেড়ে পালালেও আওয়ামী লীগের দোসর আলোচিত এই ইউপি চেয়ারম্যান এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোড়ল খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং শেখ পরিবার ও সাবেক এমপি সালাম মূর্শেদীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ সুবাদে একাধিকবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এর মাধ্যমে অল্প দিনেই তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোড়ল বেশ কিছু দিন আত্মগোপনে ছিলেন। যদিও পরবর্তীতে সব পক্ষকে ‘ম্যানেজ’ করে পূণরায় স্বপদে ফিরে আসেন। এভাবে এখনও ফ্যাসিবাদের এই দোসর এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এছাড়া এর আগে এক সময় তিনি জাতীয় পার্টি করতেন। সেখান থেকে বিএনপিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে সুবিধা পেতে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা বনে যান। এভাবে যখন যে দল ক্ষমতায় যায় তখন তিনি পোল্টি দিয়ে সেই দলে ভিড়ে যান। তার এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করলেও প্রভাবশালী চেয়ারম্যান হওয়ায় তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না কেউ।
অনুসন্ধান ও খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর অব. সেনা সদস্য মোঃ খসরুল ইসলামের অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়া গ্রামের মৃত ফজলুল হকের পুত্র মোঃ খসরুল ইসলাম তার নামীয় বম্রগাতী মৌজার (আর এস ১২০৯, ৯৫৭ খতিয়ান ৯১৭,৯১৯, ৯২০ও ৪৬০নং দাগ) সর্বমোট ০.৭৮৭১ একর জমি জেলা প্রশাসক খুলনার সাথে আশ্রায়ণ প্রকল্পের জন্য শতকপ্রতি ৭৫ হাজার টাকা করে বিক্রিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। সে মোতাবেক ২০২২ সালের ২৯ মার্চ জমি রেজিস্ট্রি করার সকল কাজ সম্পন্ন হলে সেই মুহূর্তে চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোড়ল বলেন, ‘খসরুলের জমি রেজিস্ট্রি হবে না তার ব্যাংকের ব্লাংক চেক না দেওয়া পযর্ন্ত।’ তাৎক্ষণিক খসরুল বাসা থেকে তার নামীয় সোনালী ব্যাংক দিঘলিয়া শাখার ২টি চেক তাকে দেওযার পর দিঘলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি রেজিস্ট্রি হয়। যার দলিল নাম্বার ৪৮৯/২২, ৪৯০/২২, ৪৯২/২২। জমি রেজিস্ট্রি হওয়ার পর তৎকালীন দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুল আলম তাকে (খসরুলকে) ৫০ লাখ টাকার চেক দেন। তিনি তাৎক্ষণিক দিঘলিয়া সোনালী ব্যাংক শাখায় তার একাউন্টে চেক জমা দেন।
অব. সেনা সদস্য মোঃ খসরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি চেক জমা দেওয়ার সাথে সাথে হায়দার আলী মোড়ল তার ইউনিয়ন পরিষদের শিল্পী নামে এক কর্মচারীকে দিয়ে একটি চেকে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫০ টাকা এবং পরবর্তী আরেকটি চেকে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে নেয়। পরবর্তীতে হায়দার আলী মোড়লের কাছে তার দেওয়া দুটি চেক ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘জামানত বাবদ টাকা নেওয়া হয়েছে, জমি মিউটেশন হওয়ার পর টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’ বিষয়টি
দিঘলিয়া উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মারফুল ইসলাম ও তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব আলমকে অবগত করলে এক মাস পর টাকা ফেরত দেবেন মর্মে অঙ্গীকারবদ্ধ হন। এক মাস পর হায়দার আলী মোড়ল আমাকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকি ১১লাখ ৬১ হাজার ৭৫০ টাকা দুই বছর অতিবাহিত হলেও টাকা ফেরত দিবে না বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
অপর অভিযোগের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৫০-৬০ বছরের পুরাতন মাছের বাজার দিঘলিয়া উপজেলার ৩৬নং পানিগাতি মৌজার খাস সরকারি ১নং খতিয়ানভূক্ত (আরএস ৪৮৪৬ নং দাগ) ১৭ একর জমির উপর ছিল মাছের বাজার। সেই মাছের বাজারের জমির ৮টি দোকানের পজিশন তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে বিক্রি করে দেন চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোড়ল। এছাড়া খুলনা জেলা প্রশাসকের নামে ২০১২ সালের ৪১৪২ নং দলিলে উপজেলার পানিগাতি মৌজার আর এস ৭৮৫ খতিয়ানের ৪১৬২ ও ৪৮৬২ দাগের .২১ একর, আর এস ১২৯০নং খতিয়ানের ৪১৫৯ ও ৪৮৪৫ নং দাগের মধ্যে.০৬ একর মোট .২৭ একর জমি পথের বাজার উন্নয়ন প্রকল্পে ৭জন গ্রহীতা দান পত্র দলিল করে দেন। এরা ৭ জন হলেন- এস এম গোলাম রহমান, মোসাঃ আলেয়া বেগম, মোসাঃ ছালেহা বেগম, মোঃ ছরোয়ার হোসেন বন্দ, মোঃ ওলিয়ার রহমান বন্দ, মোঃ দেলোয়ার বন্দ ও মোঃ জয়নাল বন্দ। কিন্তু হায়দার আলী মোড়ল সরকারি চান্দিতে অবস্থিত ১৬টি মাংসের দোকানের প্রতিটি ৫০ টাকার স্ট্যাম্পে পজিশন বিক্রি করে দিয়েছেন। এভাবে সরকারি জমি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়ল। তার নামে-বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পত্তি। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। যদিও এভাবে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক সরকারি সম্পত্তি আত্মসাত হলেও তা উদ্ধারে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই উপজেলা ভূমি অফিস বা প্রশাসনের।
পথের বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শেখ ও মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, নতুন মাংসের চান্দিনা হয় ২০১২-১৩ সালে। এখানে ১৬টি মাংসের দোকান আছে। প্রতিটি মাংসের দোকান থেকে হায়দার আলী মোড়ল ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। এখানে গরু জবাই (কসাইখানা) জায়গাটারও পজিশন বিক্রি করে দেয়। বাইরে থেকে গরু জবাই করে এনে বাজারে বিক্রি করা হয়।
টাকা দেওয়ার পরই আমরা ব্যবসা শুরু করছি।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়ল বলেন, পথের বাজারে নতুন চান্দিনাতে মাংস ব্যবসায়ীদের পজিশন দিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছিল। আর পুরাতন মাছ বাজারে ষ্টাম্পে পজিশন বিক্রি করা হয়। মাছ ব্যবসায়ীদের নতুন বাজারে পজিশন দেওয়ার কারনে পুরাতন মাছ বাজারে আমার সাথে অদল-বদল হয়। আর এ কারনে পুরাতন বাজারের পজিশন বিক্রি করি। নতুন মাছ বাজার থেকে মঞ্জু, মারুফ ও আনিছ খা আমার কাছ থেকে কিছু পজিশন নিয়ে বিক্রি করেছে। তবে আশ্রায়ন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাত ও খসরু মোড়লের নামে ব্যাংকের চেক নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
আত্মপক্ষ সমর্থন করে হায়দার আলী মোড়ল দাবি করেন, আওয়ামী লীগের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। আমরা একটা কাজ নেওয়ার সময় শেখ পরিবারকে ১০% কমিশন দিয়েছি। আর গভীর নলকূপ ও টিআর-কাবিখা’র কাজেও ১০% কমিশন নিয়েছে সাবেক এমপি সালাম মূর্শেদীর পিএস আকতার।
এ বিষয়ে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাস জমির পজিশন বিক্রি ও হস্তান্তর করার কোন সুযোগ নেই। তবে এর সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজবাড়ীতে ফ্রি লান্সিং এর নামে লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ
বাখরাবাদ গ্যাস অফিসে ইমাম নিয়োগে অনিয়ম, কম্পিউটার অপারেটর দিয়ে চলছে ইমামতি!
ব্যবসা গুটিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টায় চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা হারুন
অর্থের বিনিময়ে মামলার ভিন্ন মোর , জোর করে মামলায় স্বাক্ষর করান ওসি- মামলার বাদী কালাম মোল্লা
“জনগণের টাকা দিয়ে খেলছে গভর্নর মনসুর! ২৬ হাজার কোটি ছাপিয়ে ধ্বংস করলেন অর্থনীতি, এবার জবাব চাই”
লাকসামে পলাতক চেয়ারম্যানের বহুতল ভবনে অবৈধ পানির সংযোগ!
মেট্রোরেলের চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের তদন্তে সাংবাদিকদের উপর হামলা, ভাঙচুর এবং মোবাইল ছিনতাই – দক্ষিণ খান থানা পুলিশ, একজন গ্রেপ্তার
পটুয়াখালীতে বন উজার ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত করবে কে ?
দুর্নীতির পুরনো হিসাব মিলাতে ব্যস্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
নাসিক ২৫নং ওয়ার্ড সচিবকে অপসারনে গভীর ষড়যন্ত্র
ঝালকাঠিতে পাঁচ হাজার টাকার জন্য অবসরপ্রাপ্ত সৈনিককে কুপিয়ে হত্যা
সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পিয়ন,দলিল লেখক,শশুর বাড়ির চক্রান্তে নিঃস্ব সোহাগ
রামগঞ্জে বাতিজা ২৫ লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবি করে চাচাকে হত্যার হুমকি
মাদক মামলার আসামী গ্রেফতারের সময় পুলিশের উপর হামলা
লাকসামে অফিস না করেই বেতন নিচ্ছেন আইসিটি কর্মকর্তা!
আমতলীতে লক্ষন দাসের হাতি দেখিয়ে নিরব চাঁদাবাজি
একই মেশিনে আগে বের হতো জামায়াত- বিএনপি' এখন আ'লীগ
ত্রিশালে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মাদানীর ছেলে ও তার অনুসারীরা এখনো মাদক ব্যবসায় লিপ্ত
শেখ পরিবারের আস্তাভাজন ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার মোড়ল
১২ লাখ টাকার চুক্তিতে ৩১ লক্ষ টাকা দিয়েও লাশ হলো বাঘার সেলিম
ত্রিশালে প্রকাশ্যে চলছে জমজমাট জুয়া আসর,নিঃস্ব হচ্ছে এলাকার শত শত মানুষ,ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ
আমতলীতে ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২জন স্টাফদের মধ্যে১৬ জনের শুন্যপদ থাকায় চিকিৎসাসেবা ঝুঁকে পরছে
স্থলবন্দরে দুটি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব একই পরিবারের হাতে: সাধারণ শ্রমিকদের ক্ষোভ ও প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম
মাতুয়াইল পশ্চিম পাড়ার আতঙ্কের নাম বিল্লাল
রংপুরে বিএনপির নেতা পরিচয়ে প্রতিবেশির জমি দখলের অভিযোগ
রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি'র সদস্য শাহ আলম মুরাদের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী জমি দখলের অভিযোগ
ভান্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ইব্রাহিম হোসেনের নারী কান্ড আপত্তিকর
রাজউকের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড রুমগুলোর বেহাল দশা, চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনায় গ্রাহকেরা
পদ্মা ইসলামী লাইফ দাবী পরিশোধে বেহাল অবস্থা
যমুনায় অবৈধ বালু উত্তোলন ড্রেজারসহ আটক ২