সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ২২ জুন ২০২৫ ০৫:৫৬ পি.এম
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরসহ আশপাশের সীমান্তে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে মাদক কারবারিরা। চারপাশেই যেন মাদকের ছড়াছড়ি, রীতিমতো মহোৎসবে মেতেছে মাদকসেবি ও চোরাচালানিরা। ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ও ভারত স্ব-স্ব সীমান্তে অঘোষিত রেড এলার্ট জারি করলেও কোনভাবেই দমানো যায়নি মাদক কারবারি চক্রকে। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারি থাকা স্বত্ত্বেও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে ঢুকছে কোটি কোটি টাকার মাদকের চালান। বিনিময়ে একই পথ ধরে ভারতে চালান ঢুকছে স্বর্ণের। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জেলার সীমান্ত এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাদকের চালান ঢুকছে সদর উপজেলার ভোমরা, হাড়দ্দহা, লক্ষ্মীদাড়ি, ঘোষপাড়া ও ঘোনা-গাজীপুরের চোরাই পথগুলো ধরে। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামার পর থেকেই শুরু হয় মাদক পারাপারের তোড়জোড়।
এরমধ্যে ভোমরা সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢোকে মাদকের বড় চালান গুলো। ভোমরা স্থল বন্দর সংলগ্ন প্রত্যেকটি অলিগলিতে হাত বাড়ালেই মেলে ফেনসিডিল, বিদেশি ব্রান্ডের মদ, এলএসডি, ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজাসহ প্রায় সব ধরনের মাদকদ্রব্য পবিত্র রমজান মাসেও থেমে নেই মাদক কারবারিরা, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চিহ্নিত স্পট গুলোতে ঢুকে প্রকাশে মাদক সেবন বা কিনে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছে মাদকসেবিরা। শুধুমাত্র ভোমরা সীমান্তেই মাদক বিক্রি ও চোরাচালানে ৩০টির মত সংঘবদ্ধ সক্রিয় চক্র রয়েছে। অনুসন্ধানে যেসকল মাদক ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে শুরুতেই আছে ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আরশাদ আলী ওরফে ভোদু। অন্তত ২ যুগ ধরে স্বপরিবারে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ভোদু।
তার ছেলে শামীম সম্প্রতি বিজিবি অভিযানে মাদক সহ আটক হয়ে জেল হাজতে আছে , জামাই হালিম মাস্টার সবাই পেশাদার মাদক কারবারি। এদের প্রত্যেকেরই রয়েছে মাদকের পৃথক ব্যবসা। ৮ বছর আগে পুলিশের ক্রসফায়ারের ভয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে বসবাস শুরু করে ভোদু। বছর তিনেক আগে আবার সাতক্ষীরায় ফিরে শুরু করে মাদক কারবার।
হালিম মাস্টার ভোমরা টাওয়ার মোড়ে বসবাস করলেও পুরো সীমান্তে রয়েছে তাদের মাদক কারবারের শক্ত নেটওয়ার্ক। বাড়িতে বসেই পাইকারি ও খুচরা মাদক বিক্রি করেন হালিম মাস্টার টাওয়ার মোড়ে বসে দু’জন সহকারীকে দিয়ে মাদক বিক্রি করান।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেও রাজনৈতিক দলের মদদে চালিয়ে এসেছেন রমরমা মাদক ব্যবসা।
হালিম মাস্টারের নামে একাধিক মাদকের মামলা থাকলেও সীমান্তে প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকেই কিভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা প্রশ্ন জনসাধারণের।
সীমান্তে মাদক চোরাচালান ও ব্যবসা করে ভোদুসহ তার পরিবারের সদ্যসরা বনে গেছে লাখপতি। কিনেছে বিঘা-বিঘা, জমি গড়েছে টাইলস বাঁধানো আলিশান বাড়ি।
ভোমরা সীমান্তের অন্যান্য মাদক কারবারিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে তালিকায় আরও রয়েছে মাহমুদপুরের নাটাপাড়া এলাকার গাঁজা ব্যবসায়ী আবু তালেবের ছেলে ফেনসিডিল ব্যবসায়ী তুহিন, মাহমুদপুর গাঙ্গানিয়ার বশির কারিকরের ছেলে আজিজুল ইসলাম পলতা, মাহমুদপুর নাটাপাড়া এলাকার সাইদুল, মাহমুদপুর এলাকার হান্নান, গয়েশপুর এলাকার মৃত ছলে সরদারের ছেলে ফারুক, ভোমরা হাড়দ্দাহ এলাকার পোল্ট্রি রমজান, শ্রীরামপুরের এলাকার হাসান, বকুলসহ আরও অন্তত ডজনখানেক মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারি। বছরের পর বছর ধরে তারা সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় মাদকের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।
তাছাড়া সক্রিয় এসব মাদক সিন্ডিকেটের সাথে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, থানা পুলিশ, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)’র কতিপয় অসাধু সদস্যদের সখ্যতা বা গোপন চুক্তি থাকার ফলেও ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দমন করতে পারছেনা বলেও মনে করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। ভোমরা স্থল বন্দর এলাকার একাধিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় দিন দিন সীমান্তে মাদকের আগ্রাসন ও মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম বাড়ছে।
সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশরাফুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিজিবি সদস্যরা প্রতিদিন মাদকবিরোধী বিশেষ টহল পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মাদক ও বিভিন্ন ধরনের মালামাল জব্দ করছে। সীমান্তে অপরাধরোধে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অভিযান অব্যহত আছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, সীমান্তের ৮ কিলোমিটার এলাকা সম্পূর্ন বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। সেখানে পুলিশও ইচ্ছেমতো যেতে পারেনা। তবুও মাদক ও অপরাধ দমনে পুলিশ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি সুনাগরিককে এগিয়ে আাসারও আহ্বান জানান তিনি।
সাতক্ষীরা ভোমরা সীমান্তে শীর্ষ মাদক সম্রাট হালিম মাষ্টার বেপরোয়া --
রাজবাড়ীতে ফ্রি লান্সিং এর নামে লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ
বাখরাবাদ গ্যাস অফিসে ইমাম নিয়োগে অনিয়ম, কম্পিউটার অপারেটর দিয়ে চলছে ইমামতি!
ব্যবসা গুটিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টায় চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা হারুন
অর্থের বিনিময়ে মামলার ভিন্ন মোর , জোর করে মামলায় স্বাক্ষর করান ওসি- মামলার বাদী কালাম মোল্লা
“জনগণের টাকা দিয়ে খেলছে গভর্নর মনসুর! ২৬ হাজার কোটি ছাপিয়ে ধ্বংস করলেন অর্থনীতি, এবার জবাব চাই”
লাকসামে পলাতক চেয়ারম্যানের বহুতল ভবনে অবৈধ পানির সংযোগ!
মেট্রোরেলের চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের তদন্তে সাংবাদিকদের উপর হামলা, ভাঙচুর এবং মোবাইল ছিনতাই – দক্ষিণ খান থানা পুলিশ, একজন গ্রেপ্তার
পটুয়াখালীতে বন উজার ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত করবে কে ?
দুর্নীতির পুরনো হিসাব মিলাতে ব্যস্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
নাসিক ২৫নং ওয়ার্ড সচিবকে অপসারনে গভীর ষড়যন্ত্র
ঝালকাঠিতে পাঁচ হাজার টাকার জন্য অবসরপ্রাপ্ত সৈনিককে কুপিয়ে হত্যা
সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পিয়ন,দলিল লেখক,শশুর বাড়ির চক্রান্তে নিঃস্ব সোহাগ
রামগঞ্জে বাতিজা ২৫ লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবি করে চাচাকে হত্যার হুমকি
মাদক মামলার আসামী গ্রেফতারের সময় পুলিশের উপর হামলা
লাকসামে অফিস না করেই বেতন নিচ্ছেন আইসিটি কর্মকর্তা!
আমতলীতে লক্ষন দাসের হাতি দেখিয়ে নিরব চাঁদাবাজি
একই মেশিনে আগে বের হতো জামায়াত- বিএনপি' এখন আ'লীগ
ত্রিশালে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মাদানীর ছেলে ও তার অনুসারীরা এখনো মাদক ব্যবসায় লিপ্ত
শেখ পরিবারের আস্তাভাজন ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার মোড়ল
১২ লাখ টাকার চুক্তিতে ৩১ লক্ষ টাকা দিয়েও লাশ হলো বাঘার সেলিম
ত্রিশালে প্রকাশ্যে চলছে জমজমাট জুয়া আসর,নিঃস্ব হচ্ছে এলাকার শত শত মানুষ,ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ
আমতলীতে ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২জন স্টাফদের মধ্যে১৬ জনের শুন্যপদ থাকায় চিকিৎসাসেবা ঝুঁকে পরছে
স্থলবন্দরে দুটি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব একই পরিবারের হাতে: সাধারণ শ্রমিকদের ক্ষোভ ও প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম
মাতুয়াইল পশ্চিম পাড়ার আতঙ্কের নাম বিল্লাল
রংপুরে বিএনপির নেতা পরিচয়ে প্রতিবেশির জমি দখলের অভিযোগ
রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি'র সদস্য শাহ আলম মুরাদের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী জমি দখলের অভিযোগ
ভান্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ইব্রাহিম হোসেনের নারী কান্ড আপত্তিকর
রাজউকের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড রুমগুলোর বেহাল দশা, চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনায় গ্রাহকেরা
পদ্মা ইসলামী লাইফ দাবী পরিশোধে বেহাল অবস্থা