ত্রিশালে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মাদানীর ছেলে ও তার অনুসারীরা এখনো মাদক ব্যবসায় লিপ্ত

ময়মনসিংহের ত্রিশালে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর দুই ছেলে ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ ও তার বড় ভাই প্রিন্সের মাধ্যমে ত্রিশালে যে মাদক ব্যবসার শুরু হয়েছিল তা এখনো প্রকাশ্যে বসেছে।এই চক্রের মাধ্যমে এক সময় ত্রিশাল হয়েছিল মাদক সাম্রাজ্যের অভয়াশ্রম।তখন প্রকাশ্যে ত্রিশালে মাদক ব্যবসার জমজমাট আসর বসতো।বিক্রি হতো নানা ধরনের মাদক।যেমন হিরোইন, ইয়াবা,গাঁজা,আফিম সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিতেন সাবেক এমপি মাদানীর দুই ছেলে হাসান ও প্রিন্স।আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে এই চক্রটি কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও এখন আবার ও সক্রিয় হয়েছে।
সূত্র জানায়,ত্রিশাল পৌরশহরের ৫নং ওয়ার্ডের কেরানীবাড়ী মোড়। যেখানে দিনে রাতে প্রকাশ্যে স্থানীয় ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষার্থীদের হাতে গাঁজা ও ইয়াবা তুলে দিচ্ছে মিনা নামে এক মাদক ব্যবসায়ী। এতে আশপাশের উঠতি বয়সের যুবকরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকসেবীদের অবাধ চলাচলে অতিষ্ঠ স্থানীয় এলাকাবাসি একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে অবগত করলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা পুলিশ। পুলিশের এমন রহস্যজনক ভৃমিকায় শঙ্কিত স্থানীয় লোকজন। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানাগেছে, ত্রিশাল পৌরশহরের ৫নং ওয়ার্ডের ত্রিশাল ভাটিপাড়া গ্রামের কেরানীবাড়ী মোড়ে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি চলছে দীর্ঘদিন ধরে। পুলিশকে ম্যানেজ করে দাপটের সাথে গাঁজা ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বেচাকেনা করছে স্থানীয় ফারুক ড্রাইভারের স্ত্রী মিনা। পুলিশের সঙ্গে এ মাদক কারবারির বেশ সখ্যতা থাকায় চলছে তার রমরমা ব্যবসা। উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মিনার ব্যবসার পরিধি। বিশেষ করে এলাকাটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হওয়ায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকার কিশোর ও যুবকরা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকাসক্তরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা জানান, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য ছেলে মেয়েরার এই স্পটই থেকে লাইন ধরে মাদক ক্রয় করছে। প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও মাদকসেবীদের ভয়ে স্থানীয় লোকজন সর্বক্ষন আতংকে সময় কাটাচ্ছে কেউ প্রতিবাদ করলে তার সাথেই মাদক সেবী ও বিক্রেতা মিলে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। মাদকাসক্ত ভুক্তভোগি পরিবারসহ বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় লোকজন মাদকের বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ।
স্থানীয় শহীদ মিয়া জানান, প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করলে আমাদেরকে দেয়া হয় নানাভাবে হুমকি। পুলিশ ও প্রশাসনকে জানালেও মেলেনি কোন প্রতিকার।
স্থানীয় আসাদ মিয়া বলেন শুনেছি পুলিশকে ম্যানেজ করে এভাবে অবাধে গাঁজা ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বেচাকেনা করছে মিনা।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকাটিতে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা ও মৌখিকভাবে অভিযোগ পেলেও ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর আহমেদ এর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।